চুল পড়া একটি কমন সমসা। সব বয়সের পুরুষ ও মহিলার মধ্যে এই সমস্যা আছে। তাই মানুষ চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। কেউ ডাক্তারি পরামর্শ নেন, কেউ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেন, আবার কেউ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন। যাইহোক, চুল এমনি এমনিতেই পড়ে না। এর পিছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ থাকে। তাই চুল পড়া বন্ধ করার আগে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কেন চুল পড়ে।এই আর্টিকেলে, আমি চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ সহ চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। আপনি চুল পড় বন্ধ করতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং চুল পড়া বন্ধের কার্যকর সমাধান জেনে নিন।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
চুল পড়ার কারণ
১। বংশগত কারণে চুল পড়ে।
২। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ে।
৩। বড় ধরনের অপারেশন এর কারণে চুল পড়ে।
৪। থাইরয়েড, অ্যালোপিয়া, মাথার তালুতে দাদ ইত্যাদি রোগ দেখা দিলে চুল পড়ে।
৫। ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত, হৃদপিন্ডের সমস্যা কিংবা মানসিক চাপের কারণে কোন ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন
করলে চুল পড়ে।
৬। অধিক চিন্তা ভাবনা, হঠাৎ কোন মানসিক আঘাত পাওয়া ও ওজন বৃদ্ধির
কারণে চুল পড়ে।
৭। আধুনিকতা ও ফ্যাশন দেখানোর জন্য মাথার চুলে
তাপ দিয়ে বিভিন্ন আকৃতিতে চুলকে নিয়ে গেলে চুল পড়ে।
৮। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ে।
৯। খাবারে আয়রন বা প্রোটিনের কারণে চুল পড়ে।
১০। ইনফেকশনের কারণে চুল পড়ে।
১১। শরীরে পুষ্টির অভাব হলে চুল পড়ে।
১২। খুশকির জন্য চুল পড়ে।
১৩। পেটের সমস্যায় চুল পড়ে।
১৪। টেনশনে চুল পড়ে।
১৫। পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি থাকা পানি ব্যবহার করলে চুল পড়ে।
চুল পড়া বন্ধ করার জাদুকরী প্যাক
রোগ হলেই যেমন তার
চিকিৎসা আছে ঠিক তেমনি সমস্যা হলেই তার সমাধান আছে। চুল পড়া একটি কমন সমস্যা। তাই
এই সমস্যারও সমাধান আছে। চুল পড়া সমস্যার সমাধান পেতে কিংবা চুল পড়া বন্ধ করতে
আপনি নিচের চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক ব্যবহার
করতে পারেন। তাহলে আসুন এখন চুল পড়া বন্ধ করার প্যাকগুলো জানা যাক।
চুল পড়া রোধে নারিকেল তেল
চুলের যত্নে নারিকেল তেল যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। বেশিরভাগ মানুষ নারিকেল তেলের উপকারিতা না জেনে ব্যবহার করে। আবার অনেকে চুলে নারিকেল তেল ব্যবহার করে না। কিন্তু সবাই যদি নারিকেল তেলের পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা জানতো তাহলে চুলে নারিকেল তেল ছাড়া অন্য কোন তেল ব্যবহার করতো না। আসলে নারিকেল তেল হল চুলের জীবন। চুল পড়া বন্ধ করতে নারিকেল তেলের ভূমিকা অনিস্বীকার্য।
নারিকেল তেল খুব ফ্যাট সমৃদ্ধ। নারিকেল তেলে
প্রচুর ক্যালোরি আছে। এতে আছে লরিক এসিড, মাইরিস্টোলেইক এসিড, পামিটোলেইক এসিড, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, আয়রন, এন্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও ত্বক কোমল করে এমন সব উপাদান। এতে কোন কোলেস্টেরল
নেই।
নারিকেল তেল চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের খুশকি দূর করে, চুলের জট ছাড়াতে সাহায্য করে, মাথার
ত্বকের জন্য উপকারী, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, চুলের পুষ্টি বাড়িয়ে তোলে ও চুলের যেকোন রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: চুল
পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। চুল পড়া বন্ধ করতে নারিকেল তেল ব্যবহারের
পূর্বে প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। এরপর মাথার ত্বকে আঙুল দিয়ে
খুব জোরে জোরে ঘষুন যাতে ত্বকের লোমকূপের মুখগুলি খুলে যায়। তারপর আপনি হাতের
তালুতে অল্প পরিমাণ নারিকেল তেল নিন এবং চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন।
এভাবে সম্পূর্ণ মাথার ত্বক জুড়ে তেল লাগিয়ে নিন।
চুলে তেল মাখানো হয়ে গেলে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুলগুলো ঢেকে দিন এবং চুলে তেল
ভালোভাবে মিশে যাওয়া জন্য কমপক্ষে ৩০ মিনিট এভাবে রাখুন। শেষে পরিষ্কার পানি ও
শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে নিশ্চিত
আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
চুল পড়া রোধে মেথি ও নারিকেল তেল
চুল পড়া রোধে মেথি ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ অসাধারণ ভূমিকা রাখে। চুলে মেথি ও নারিকেল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। মেথি ও নারিকেল তেলের মিশ্রণের ব্যবহার জানার আগে মেথির উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
মেথিতে আছে ফলিক এসিড, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি মিনারেল ইত্যাদি। মেথি চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের খুশকি দূর করে, চুলের অকালপক্কতা
রোধ করে, চুলের বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য
করে এবং চুল ময়েশ্চার রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতি: প্রথমে
২ চা চামচ মেথি ভেজে নিন। তারপর একটি বোতলে ১০০ গ্রাম নারিকেল নিয়ে ভাজা মেথিগুলো
নারিকেল তেলের মধ্যে দিয়ে দিন। মেথি মি্শ্রিত নারিকেল তেলের বোতলের মুখ ৪/৫ দিনের
জন্য বন্ধ করে রেখে দিন। ৪/৫ দিন পর প্রতি রাতে এই মেথি মিশ্রিত তেল মাখুন এবং
সকালে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার করে নিন। আশা করি ভাল ফল পাবেন। কমপক্ষে সপ্তাহে তিনবার মেথি
মিশ্রিত তেল ব্যবহার করবেন।
এছাড়া আপনি মেথি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মেথি
প্যাক তৈরির জন্য ৫০ গ্রাম মেথি নিয়ে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে
ভেজানো মেথি দানাগুলো শিল পাটায় পিষে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টের সাথে অল্প
পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে দিন। এখন এই মেথি ও লেবুর রস মিশ্রিত পেস্টটি চুলের গোঁড়া
থেকে চুলের শেষ পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। কমপক্ষে পেস্টটি চুলে ২০ মিনিট রাখার পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার করে
নিন।
চুল পড়া রোধে নিম পাতা ও নারিকেল তেল
চুল পড়া রোধে নিম পাতা ও নারিকেল তেলের গুরুত্ব অপরিসীম। ফ্ল্যাভানয়েড-এর উৎকৃষ্ট উৎস হচ্ছে নিম পাতা যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এলার্জি দূর করতে নিম পাতার জুড়ি নেই।
নিম পাতায় আছে অ্যাজাডিরাকটিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ক্যারোটিন, গ্লুটামিক অ্যাসিড, এ্যালাইন এবং অন্যান্য ফ্যাটি অ্যাসিড। নিম পাতা চুলকে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে, চুল পড়া বন্ধ করে, চুল নরম ও ঝলমলে করে, চুলকে খুশকি মুক্ত রাখে এবং মাথার উকুন দূর করে। নিয়মিত নিম পাতা ও নারিকেল তেল ব্যবহার করলে মাথার চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল স্বাভাবিক ও সুন্দর থাকে।
ব্যবহার পদ্ধতি: চুল পড়া
বন্ধ করতে নিম পাতা ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ তৈরি করার জন্য প্রথমে ১০-১৫ টি নিম
পাতা নিয়ে শিল পাটায় বেটে রস বের করে নিন। তারপর সেই রস নারিকেল তেলের সাথে
মিশিয়ে তা মাথার ত্বকে পুরো চুলে লাগান। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ দিন নিম পাতার রস ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ ব্যবহার
করুন। এতে নিশ্চিত চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া রোধে অ্যালোভেরা জেল
ত্বক ফর্সা করায় ও চুল পড়া বন্ধে অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। অ্যালোভেরায় এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে যা চুল পড়া রোধে অসাধারণ কাজ করে। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরায় আছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও
ভিটামিন-এ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদি। অ্যালোভেরা হার্ট
সুস্থ রাখে, মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে, দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, ওজন হ্রাস করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ
করে, ত্বক ফর্সা করে, রোগ-প্রতিরোগ
ক্ষমতা বৃদ্ধিতে করে, মুখের দূর্গন্ধ দূর করে, চুলের খুশকি দূর করে, চুল পড়া বন্ধ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে আধা কাপ
নারিকেল তেল মেশান। উপকরণ দুটি খুব ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। রাতের বেলা
পেস্টটি ব্যবহার করুন। পরদিন সকালে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ভালো করে মাথা
ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া সমস্যায় এটি বেশ কার্যকরী।
পড়তে পারেনঃ
চুল পড়া রোধে মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই
মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই চুল পড়া রোধে বিরাট ভূমিকা পালন করে। মেহেদী পাতার রস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ডিম মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। আর টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া বন্ধ করে।
মেহেদিতে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল, এন্টি-ইনফ্লেমেটরী, কুলিং ও হিলিং, এন্টিইরিটেন্ট ও সিডেটিভ
উপাদান। মেহেদি চুল ঘন করে, চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলের রুক্ষতা দূর করে, চুল রেশমী ও
ঝরঝরে করে, চুলের আগা ফাটা রোধ করে, খুশকি দূর করে, চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
এবং চুল পড়া বন্ধ করে।
ডিমের সাদা অংশে আছে প্রোটিন, পটাশিয়াম, মিনারেল, রিবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন বি ও ক্যালসিয়াম। এটা চুলের আগা
ফাটা রোধ করে, চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে, চুল পড়া বন্ধ করে ও চুল ঝলমলে করে।
টক দই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য
হিসেবে এর সুনাম আছে। এতে আছে
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ল্যাকটিক এসিড, ফ্যাট, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন বি১২ ।
টক দই চুলকে নরম আর মসৃণ রাখে, খুসকি কমায়, চুল উঠা প্রতিরোধ করে, চুলের উজ্জ্বলতা
বাড়ায় ও চুলের রুক্ষতা কমায়।
ব্যবহার পদ্ধতি:– চুল পড়া বন্ধ করতে মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টক দই দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করার জন্য ১ চা চামচ মেহেদী
পাতা বাটা বা গুঁড়ো নিন। এতে ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২ চা চামচ টকদই দিন। এখন
উপাদানগুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
চুলের এই জাদুকরী প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগান এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন। এরপর সাধারণভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।
চুল পড়া বন্ধ করার কার্যকারী টিপস
১। নিয়মিত চুলে তেল দিবেন।
২। মাথায় গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
৩। চুলে হিট দিবেন না।
৪। হেয়ার ড্রায়ার দ্বারা চুল শুকাবেন না।
৫। চুল খুব টাইট করে বাঁধবেন না।
৬। কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
৭। চুল মোছার সময় জোরে জোরে ঘষবেন না।
৮। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।
৯। গরমকালে বাইরে গেলে স্কার্ফ ব্যবহার করবেন।
১০। সম্পূর্ণরূপে ধুমপান বর্জন করবেন।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
চুল পড়া বন্ধ করার সেরা তেল হল নারিকেল তেল। নারিকেল তেল হল চুলের
জীবন। এছাড়া চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকির তেল, পিয়াজের তেল, জলপাই তেল ও অ্যালমন্ড
ওয়েল ব্যবহার করলেও চুল পড়া বন্ধ হয়। তাই চুল পড়া কমাতে বা চুল পড়া বন্ধ করতে এই
তেলগুলো নিয়মিত ব্যবহাষ করুন। আশা করি ভাল ফল পাবেন।
কি কি খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হবে
চুল পড়া বন্ধ করার কিছু খাদ্য আছে যেগুলি আমাদের চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে। এখন দেখুন কি খেলে চুল পড়া তাড়াতাড়ি বন্ধ হবে।
১। খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমনঃ ডিম, মাছ ও মাংস
রাখুন।
২। খাদ্যতালিকায় আমলকী, মটরশুটি, মিষ্টি
আলু ও বাদাম রাখুন।
৩। ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে
চলবেন। এটি চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
৪। দিনে ৪ থেকে ৫ লিটার পানি পান করুন।
৫। পালং শাক, বাঁধাকপি ও ব্রকলি ভিটামিন, মিনারেলস এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সবচেয়ে ভাল উৎস। প্রতিদিন এই খাদ্যগুলো খান। এই খাদ্যগুলো
চুলের গোড়া মজবুদ করে এবং চুল পড়া কমায়।
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি চুল পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলে আমি যেসব চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো ফলো করুন। এতে আপনি দ্রুত চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আর্টিকেলে উল্লেখিত প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারেন সকলে নজরকাড়া একজন মানুষ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।
রিলেটেড পোস্টসঃ
অনেক সুন্দর পোস্ট চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে
উত্তরমুছুন