বর্তমান সময়ে এলার্জি মানুষের একটি কমন সমস্যা। এটা অত্যন্ত অস্বস্তিকর। কারও ক্ষেত্রে এটি শীতকালে বাড়ে। আবার কারও ক্ষেত্রে বাড়ে গরমকালে। এলার্জির কারণে ত্বক চুলকায়, চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ ও সমস্ত শরীর লাল হয়ে যায়। এগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বেশ ভোগান্তি বাড়ায়।
যাইহোক, এলার্জি বড় সমস্যা হল চুলকানি। এলার্জি বেড়ে গেলে চুলকাতে চুলকাতে অনেকের আরামের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তারা চুলকানি সহ্য করতে না পেরে ছুটে যায় ডাক্তার এর কাছে। তখন ডাক্তাররা তাদের চুলকানি কমানোর ও এলার্জি প্রতিরোধক ট্যাবলেট লিখে দেন এবং বলেন” যা খেলে এলার্জি বাড়ে তা খাবেন না।”এটাতো কোন চিকিৎসা হল না।
আসলে ডাক্তারের কাছে এলার্জি নিরাময়ের কোন ঔষধ নেই। এটা একেবারেই সত্য কথা। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি পায় যায়। তাই এই আর্টিকেলে আমি প্রাকৃতিকভাবে এলার্জি দূর করার উপায় বা এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে। চলুন তাহলে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি দূর করার প্রধান প্রাকৃতিক উপাদান হলো নিম পাতা। একমাত্র দীর্ঘদিন যাবৎ নিম পাতার ব্যবহারই এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে। নিম পাতার পাশাপাশি আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এলার্জি থেকে মুক্তি দিতে পারে। নিম পাতা সহ এলার্জি থেকে মুক্তিদানকারী প্রাকৃতিক উপাদানগুলো কিভাবে ব্যবহার করবেন তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
নীচের উল্লেখিত প্রাকৃতিক উপাদানগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। এলার্জি চিরতরে দূর হয়ে যাবে। আর এলার্জি চিরতরে দূর হয়ে গেলে সাথে এলার্জি চুলকানিও দূর হয়ে যাবে। এখন এলার্জি চিরতরে দূরকারি সেই ম্যাজিকাল প্রাকৃতিক উপাদানগুলো এবং তার ব্যবহার জেনে নিন।
১। এলার্জি দূর করতে নিম পাতা
এলার্জি বা এলার্জি চুলকানি দূর করার একমাত্র মহাষৌধ হল নিম পাতা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিম পাতার মধ্যে এমন শক্তি দিয়েছেন যা এলার্জি চিরতরে দূর করে দিতে পারে। তাই যারা এলার্জির যন্ত্রণায় অস্থির কিংবা এলার্জি চুলকানি সহ্য করতে পারছেন না তারা সব বাদ দিয়ে নিম পাতার উপর নির্ভর করেন। এখন দেখে নিন এলার্জি দূর করতে কিভাবে নিম পাতা ব্যবহার করতে হয়।
ব্যবহার পদ্ধতি: বেশি করে নিম পাতা সংগ্রহ করুন। এর পরে এই পাতা রোদে শুকিয়ে ঝরঝরে করে ফেলুন। অতঃপর শিল পাটায় পিষে গুড়া করে বৈয়াম বা কৌটা ভর্তি করে রাখুন। ঐ বৈয়াম বা কৌটা থেকে প্রতিদিন ১ চা চামচ নিম পাতার গুঁড়া নিয়ে তিন ভাগ করে ১ ভাগ এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ইসুবগুলের ভুষি সঙ্গে আধাঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর খাওয়ার আগে মিশ্রণটি ভালোভাবে চামচ দিয়ে নাড়ুন।
প্রতিদিন এই মিশ্রণ তিনবার খাবেন। সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। এক গ্লাস করে তিনবার তিন গ্লাস এই নিম পাতা ও ইসুবগুলের ভুষির মিশ্রন খাবেন। আর প্রতিবার মিশ্রণ তৈরি করার জন্য উপরের দেখানো অনুপাতে তৈরি করবেন। এভাবে এক টানা ২১ দিন খেয়ে যান। এক মাস পর নিম পাতার কার্যকারিতা শুরু হয়ে যাবে। এলার্জি চিরতরে দূর হবে এবং এলার্জি চুলকানিও এলার্জির সাথে বিদায় নিবে। ফলে এতদিন যা খেতে পারতেন না এখন থেকে গড়ে সব খেতে পারবেন।
উপরের দেখানো পদ্ধতিতে নিমপাতা খেতে না পারলে তিনবার ভাত খাওয়ার সময় ১ চা চামচ নিম পাতার গুড়া ৩ ভাগ করে এক ভাগ অল্প ভাতের সাথে মিশিয়ে খান। এভাবেও খেতে না পারলে বড়ি করে পানি দিয়ে গিলে খান। তবে মনে রাখবেন প্রতিদিন তিনবার খাবেন কিন্তু এই এক চা চামচের বেশি নয় এবং যেভাবে পারেন নিয়মিত ২১ দিন খাবেন। শেষে ফলাফল পাবেন। মনে রাখবেন এলার্জি বা এলার্জি চুলকানি দূর করতে ডাক্তার ফেল কিন্তু নিমপাতা পাস।
এছাড়া এলার্জি দূর করতে নিম, তুলসী ও ধনিয়া পাতা একসাথে পেস্ট করে এলার্জি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতেও ভাল ফলাফল পাবেন। চুলকা চুলকি বন্ধ হয়ে যাবে।
২। এলার্জি দূর করতে তুলসী পাতা
এলার্জি দূর করার দ্বিতীয় প্রাকৃতিক উপাদান হল তুলসী পাতা। এতে আছে ব্রড-স্পেক্ট্রাম এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা ত্বককে যে কোন প্রকার সংক্রমণ হতে রক্ষা করে এবং ত্বক ফুলে যাওয়া ও চুলকানি কমায়। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা ব্যবহার করেও যে কেউ এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারে। এখন জেনে নিন এলার্জি দূর করতে কিভাবে তুলসী পাতা ব্যবহার করতে হয়।
ব্যবহার পদ্ধতি: একমুঠো তুলসী পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঐ তুলসী পাতা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে অথবা শিল পাটায় পিষে পেস্ট তৈরি করুন। এখন এই পেস্ট এলার্জি আক্রান্ত স্থানে দৈনিক তিন-চারবার লাগান। প্রত্যেক বার ৩০ মিনিট রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। ইনশাল্লাহ এলার্জি দূর করতে ভাল ফলাফল পাবেন।
৩। এলার্জি দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার এলার্জি দূর করার আরেকটি অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিটিক অ্যাসিড যা
এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানে ভরা। এই দুটি উপাদান ত্বকের এলার্জি দূর করতে প্রচণ্ড
ভূমিকা পালন করে। তাই এলার্জি চুলকানি দূর করতে নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার
ব্যবহার করুন। এখন কিভাবে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করবেন সেটা জানুন।
ব্যবহার পদ্ধতি: এক কাপ গরম পানি নিন এবং ঐ পানির মধ্যে ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে ভালোভাবে মেশান। এরপর এই মিশ্রণ এলার্জি আক্রান্ত স্থান দৈনিক দুইবার লাগান। কিন্তু যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় তাহলে আপনি এই উপাদানটি ব্যবহার করবেন না। কিছুদিন আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করার কারণে এলার্জি ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এলার্জির সমস্যা আর থাকবে না।
৪। এলার্জি দূর করতে অ্যালোভেরা
এলার্জি দূর করার ক্ষেত্রে নিম পাতার মতো অ্যালোভেরা জেলও বেশ কার্যকরী। এর মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমূহ ত্বকের এলার্জি দূর করার সেরা প্রতিকার। তাই এলার্জি আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন এবং অ্যালোভেরা জেল এর ম্যাজিক দেখুন। এখন জানুন এলার্জি চুলকানি দূর করতে কিভাবে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে হয়।
ব্যবহার পদ্ধতি:
প্রথমে কয়েকটি অ্যালোভেরা পাতা সংগ্রহ করুন। এরপরে এই
পাতা থেকে ১ চা চামচ পরিমাণ জেল বের করুন। এই জেল সমস্ত এলার্জি আক্রান্ত স্থানে
লাগান। ৩০ মিনিট এই জেল রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে কমপক্ষে তিনবার ব্যবহার করুন।
নিয়মিত কয়েক দিন এলোভেরা জেল ব্যবহার করলেই এলার্জি চিরতরে দূর হবে। ফলে
চুলকা চুলকি বন্ধ হয়ে অস্থির শরীর স্থির হয়ে যাবে।
৫। এলার্জি দূর করতে বেকিং সোডা
বেকিং সোডা প্রাকৃতিক উপাদান না হলেও এলার্জি দূর করার জন্য প্রচন্ড কার্যকারী। এটি ত্বকের ব্যাথা উপশম করে, ফুসকুড়ি দূর করে এবং চুলকানি থেকে মুক্তি দেয়। তাই এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে এবং এলার্জি চুলকানি দূর করতে নিয়মিত বেকিং সোডা ব্যবহার করা উচিত। এখন এলার্জি দূর করতে বেকিং সোডার ব্যবহার দেখে নিন।
ব্যবহার পদ্ধতি:
১ চা চামচের অর্ধেক বেকিং সোডা নিয়ে অল্প পানির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এই পেস্ট এলার্জি আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১০ মিনিট মতো রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি বেশিদিন ব্যবহার করবেন না। এলার্জি দূর করতে বেকিং সোডা সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন।
৬। এলার্জি দূর করতে নারিকেল তেল
এলার্জি দূর করতে নারিকেল তেল এর জুড়ি নেই। এতে
আছে ফ্যাটি এসিড,
অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যানালজেসিক ও ময়শ্চারাইজিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি দূর করতে প্রচণ্ড ভূমিকা
রাখে। এখন এলার্জি নিরাময়ে নারিকেল তেলের ব্যবহারটি দেখে নিন।
ব্যবহার পদ্ধতি: ১ চা চামচ নারিকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। এরপর এই তেল এলার্জি আক্রান্ত স্থানে দিনে তিন থেকে চারবার লাগান। প্রতিবার লাগানোর পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে ত্বক শুকিয়ে নিন। এলার্জি চুলকানি দূর না হওয়া পর্যন্ত নারিকেল তেল ব্যবহার করতে থাকুন। এতে কোন ক্ষতি নেই।
৭। এলার্জি দূর করতে অলিভ অয়েল
নারিকেল তেলের মত অলিভ অয়েলও এলার্জি দূর করার
ক্ষেত্রে প্রচন্ড উপকারি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ত্বকের এলার্জির
সমস্যা সমাধান করে এবং ত্বকের চুলকা চুলকি বন্ধ করে। এখন এলার্জি দূর করতে অলিভ অয়েলর
ব্যবহার দেখে নিন।
ব্যবহার পদ্ধতি: ঠিক নারিকেল তেলের মত একইভাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এলার্জি চিরতরে আপনাকে বিদায় জানাবে। আর আপনি চুলকা চুলকির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
এলোপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে এলার্জি চুলকানি কখনো
দূর হয় না। তবে সাময়িকের জন্য চুলকানি কমে। স্থায়ীভাবে এলার্জি চুলকানি দূর
করতে হলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। বিশেষভাবে ২১ দিন নিম পাতা খেতে হবে।
এ্যালোপ্যাথিক যেসব ওষুধ এলার্জি চুলকানি কমায় তার কিছু গ্রুপের নাম উল্লেখ করা হলো।
আপনি এই গ্রুপগুলোর যে কোন ওষুধ খেতে পারেন। তবে এলোপ্যাথিক কোন ঔষধ ডাক্তারের
পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না। এখন এলার্জি চুলকানি দূর করা ওষুধের নাম দেখা যাক।
১। ফেক্সোফেনাডিন
২। ডেসলোরাটাডিন
৩। ডাইফেনহাইড্রামিন
৪। লোরাটাডিন
৫। সিটিরিজিন
এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?
এলার্জি স্পেশালিস্টদের মতে, এলার্জির ঔষধ অনেকদিন ধরে খাওয়া ঠিক না। এর অনেক সাইড ইফেক্ট আছে। এলার্জির ওষুধ বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়, গলা মুখ শুকিয়ে যায়, মূত্র ত্যাগের সমস্যা দেখা দেয় এবং অস্বাভাবিকভাবে প্রেসার কমে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ডায়াবেটিস ও হূদরোগে আক্রান্ত
রোগীদের এলার্জির ওষুধ কিংবা ঘুমের ওষুধ খাওয়া উচিত না। এতে তাদের শরীরে
বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই নিয়মিত এলার্জির ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে
এবং প্রাকৃতিক ভেষজ ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এলার্জি দূর করতে হবে।
চোখের এলার্জির ড্রপের নাম
চোখ খুব সংবেদনশীল এবং মানব শরীরের মূল্যবান অঙ্গ। এই চোখে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ড্রপ দেওয়া যাবে না। কিছু ড্রপ আছে যা চোখের এলার্জির জন্য প্রচন্ড কার্যকরী। এই ড্রপ ব্যবহারের ফলে চোখের এলার্জি অনেক কমে যায়। স্টেরইড ও ক্রোমোগ্লাইকেট চোখের এলার্জির অন্যতম আই ড্রপ। এই আই ড্রপ গুলো এক টানা ১৪ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৪ দিন পরে যদি চোখের এলার্জি না কমে তাহলে নতুন ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। আর পুরাতনটি বাদ দিতে হবে। এই আই ড্রপ গুলোও ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ব্যবহার করা যাবে না।
চুলকানির ক্রিমের নাম
দ্রুত চুলকানি কমানোর জন্য কিছু ক্রিম পাওয়া যায়। এই
ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে দ্রুত এলার্জি চুলকানি কমে যায়। তবে এই ক্রিমগুলো
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ব্যবহার করবেন। নিচে কিছু চুলকানির ক্রিমের নাম উল্লেখ
করা হলো।
১। পেভিটিন
২। বেট
সিজি
৩। পারমিগ্থিন
৪। পেভিসন
৫। বেনজাইল
বেনজোয়েন্ট লোশন
এলার্জি জাতীয় খাবার
দৈনিন্দ জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। এই
সব খাবারের মধ্যে কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে এলার্জি কিংবা এলার্জি চুলকানি
প্রচন্ডভাবে বেড়ে যায়। তাই আপনি আগে লক্ষ্য করবেন কোন খাদ্যগুলো খেলে আপনার
এলার্জি বাড়ে। আপনি সেই খাদ্যগুলো খাবেন না কিংবা দীর্ঘদিন খাওয়া বন্ধ রাখবেন।
নিচে এমন কিছু খাদ্য উল্লেখ করা হলো যেগুলো খেলে এলার্জি কিংবা এলার্জি চুলকানি
বেড়ে যায়।
১। সব ধরনের চিংড়ি মাছ
২। ইলিশ মাছ
৩। গরুর
মাংস
৪। হাঁসের
মাংস
৫। মসুর ডাল
৬। পুঁইশাক
৭। বেগুন
গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়
গোপনাঙ্গের চুলকানি এটা একটি সাধারণ ব্যাপার। বেশির ভাগ মানুষের এই সমস্যাটি দেখা যায়। বিশেষভাবে আন্ডারওয়ার এর কারণে গোপনাঙ্গের চুলকানি হয়। তাই গোপনাঙ্গে চুলকানি থেকে রক্ষা পেতে কোন আন্ডারওয়ার সর্বোচ্চ দুই দিনের বেশি একটানা ব্যবহার করবেন না।
আর যদি কারো গোপনাঙ্গের চুলকানি হয় তাহলে সে কিছু এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া কিছু ইন্ডিয়ান ক্রিম আছে যেগুলো লোকাল বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য খুব কার্যকারী। এছাড়া গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করতে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটাও গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার জন্য খুব উপকারী।
চুলকানি প্রতিরোধের উপায়
ইংরেজিতে একটি কথা আছে What cannot be cured must be endured অর্থাৎ যার প্রতিকার নেই তা সহ্য করতে হয়। আবার Prevention is better than cure অর্থাৎ প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম। ঠিক উপরের দুটি ইংরেজি প্রবাদের সাথে এলার্জির মিল আছে। এলার্জি চুলকানির স্থায়ী কোন প্রতিকার নেই। তাই চুলকানি প্রতিরোধের উপায় জানতে হবে।
আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে খাদ্যগুলো খেলে আপনার এলার্জি বাড়ে সেই খাদ্যগুলো এড়িয়ে চলবেন। রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় ধুলাবালি থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক পরিধান করবেন। মনে রাখবেন কিছু খাদ্যের মত ধুলাবালি ও এলার্জির প্রধান শত্রু। এই দুটো জিনিস অনুসরণ করলে আপনি এলার্জি কিংবা এলার্জি চুলকানি প্রতিরোধ করতে পারবে।
পরিশেষে বলা যায় যে এলার্জির মহৌষধ হল নিমপাতা। নিমপাতা এবং কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ছাড়া এলার্জি থেকে স্হায়ীভাবে মুক্তি পাওয়ার কোন ঔষধ এপর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। আমার মনে হয় আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং ইতিমধ্যে এলার্জি দূর করার উপায়ও জানতে পেরেছেন। তাই যদি আপনি এলার্জির চুলকানি থেকে বাচতে চান তাহলে সব বাদ দিয়ে দিনে ৩ বার করে একটানা ২১ দিন নিমপাতা খান ও চুলকাচুলকি থেকে স্বস্তি পান। আমি মনে করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে প্রচণ্ড হেল্প করবে। এখন থেকে নিয়মিত নিমপাতা খেয়ে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ও চুলকানি মুক্ত জীবনযাপন করুন।
রিলেটেড পোস্টসঃ