দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আসরের নামাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ নামাজ
শেষে দোয়া করলে সেই দোয়া বিফলে যায় না। তাই প্রত্যেক নামাজী ব্যক্তির আসর নামাজের
শেষে নিয়মিত কিছু আমল করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট দোয়া করা উচিত। আজ আমি এই আর্টিকেলে
আসরের নামাজের সময় সহ আসর নামাজের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি আসরের নামাজের
সময় ও ফজিলত জানতে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আসরের নামাজের সময়
যখন য়োহরের নামাজের সময় শেষ হয় ঠিক তখন থেকেই আসরের নামাজের
সময় শুরু হয়ে যায়। সঠিকভাবে বলতে গেলে কোন বস্তুর ছায়া যখন তার মূল ছায়ার দ্বিগুণ
হয় তখন থেকেই আসরের নামাজের সময় শুরু হয়। আর সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত আসরের
নামাজের সময় থাকে। তবে মনে রাখবেন সূর্য যখন হলুদ বর্ণ ধারণ করে তখন আসরের নামাজ আদায়
করলে মাকরুহ হয়ে যায়।
আসরের নামাজের শেষ সময়
প্রতি ওয়াক্ত নামাজের একটি শেষ সময় থাকে। আসরের নামাজের শেষ
সময় হল সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। তবে সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার পূর্বেই আসরের নামাজ
আদায় করতে হয়।
পড়তে পারেনঃ
- সুরা মুলক বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
- সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত
আসরের নামাজের পর আমল
১। বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করুন।
২। ১ বার আয়াতুল কুরসি পাঠ করুন।
৩। ইস্তেগফার পাঠ করুন। বিশেষভাবে সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ
করুন।
৪। ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম জিকির করুন।
৫। কয়েকবার লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়ুন।
৬। দোয়া ইউনুস
৭। সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, লাইলাহা
ইল্লাল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহ আকবর ৩৩ বার পড়ুন।
৮। কয়েকবার সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহী পড়ুন।
৯। কয়েকবার সুবহানাল্লাহিল আজিম পড়ুন
১০। সবশেষে কয়েকবার দুরুদ পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার দোয়া কবুল হবে।
বিশেষভাবে শুক্রবার আসরের নামাজের পরে এই আমলগুলো অবশ্যই করার চেষ্টা করুন।
আসরের নামাজের ফজিলত
আসরের নামাজ খুবই ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে আসর নামাজের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কোরআনে মধ্যবর্তী নামাজের হিফাজত করার কথা বলা হয়েছে। আর মধ্যবর্তী নামাজ বলতে আসরের নামাজকে বোঝায়। এছাড়া হাদীস শরীফেও আসরের নামাজ সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে ব্যক্তি আসরের নামাজ হারাল সে যেন সব কিছু হারাল। হাদীসে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে যায় তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেল। অন্য একটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং কোরআন ও হাদীসের আলোকে আসরের নামাজ যে কত ফজিলতপূর্ণ তা হয়তো আপনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন।
পরিশেষে
বলা যায় যে দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামাজের নির্দিষ্ট সময় জেনে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজ নির্দিষ্ট
সময় পড়া উচিত। নামাজের নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, “অতপর নামাজ
ঠিক করে পড়। নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমানদের উপর ফরজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।” আমি মনে করি
আপনি এই আর্টিকেল থেকে আসরের নামাজের সময় সহ আসর নামাজের ফজিলত এবং আসরের নামাজের
পর আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পড়তে সবসময়
আমার ব্লগ সাইটের সাথেই থাকুন।
রিলেটেড পোস্টসঃ
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক অজানাকে জানতে নিয়মিত আমার ব্লগ সাইটটি পরিদর্শন করুন। আমার ব্লগ সাইটটি পরিদর্শনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।