Type Here to Get Search Results !

বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও ফজিলত সহ সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ,sura bakara ses 2,sura bakara ses 2 ayat bangla

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত

মহাগ্রন্থ আল কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ১১৪ টি সূরার সমন্বয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। এই সূরাগুলোর মধ্যে সূরা বাকারা  সব চেয়ে বড় সূরা। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি। আল কোরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে কোন কোন সূরার কোন কোন আয়াতের বিশেষ ফজিলত আছে। সূরা বাকারা ঠিক তেমনি একটি সূরা যার শেষ দুই আয়াতের একটি বিশেষ ফজিলত আছে। হাদীস শরীফেও সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। এই ফজিলতের জন্য অনেক মুসলমান সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত মুখস্ত করে আমল করতে চায়। কিন্তু আরবি না জানার কারণে তারা সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত মুখস্ত ও আমল করতে পারে না। আজ ঐ সকল মুসলমান ভাইয়ের জন্য আমি সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত এই আর্টিকেলের তুলে আলোচনা করেছি। আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ

আয়াত নাম্বার ২৮৫: আমানার রসুলু বিমা উংযিলা ইলাইহি মির রব্বিহী ওয়াল মুমিনুন, কুল্লুন আমানা বিল্লাহী ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রসুলিহী, লা নুফাররিকু বাইনা আহা- দিম্মির রসুলিহী, ওয়া ক্বালুসামিনা ওয়া আতআন গুফরানাকা রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাছীর।

আয়াত নাম্বার ২৮৬: লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লাউছ আহা, লাহামা কাছাবাত ওয়া আলাইহা মাকতাছাবাত, রব্বানা লা তুআখিযনা ইন্নাছিনা আও আখতানা। রব্বানা ওয়ালা তাহমিল আলাইনা ইছরান কামা হামালতাহু আলাল্লাযীনা মিন ক্ববলিনা, রব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মালা ত্বকাতালানা বিহ, ওয়াফু আন্না, ওয়াগফিরলানা, ওয়ার হামনা, আন্তা মাওলানা ফাংছুরনা আলাল কাওমিল কাফেরীন।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থ

আয়াত নাম্বার ২৮৫: আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল সা: এর নিকট যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তাতে সে ঈমান এনেছে। ঈমান এনেছে মুমিনগণেরাও। তারা প্রত্যেকে আল্লাহ, রাসূলগণ, ফেরেশতাকুল ও কিতাব সমূহের উপর ঈমান এনেছে। আর (তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসুলগণের মধ্যে কোন পার্থক্য করিনা এবং আমরা শুনলাম ও মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমারই কাছে ফিরে যাবো।

আয়াত নাম্বার ২৮৬: আল্লাহ কোন মানুষকে তার সামর্থের বাইরে কোন দায়িত্ব দেন না। যে ভাল কাজ করবে সে তার প্রতিদান পাবে এবং যে খারাপ কাজ করবে সেও তার প্রতিদান পাবে। হে আল্লাহ! আমরা যদি ভুলে যাই এবং ভুল করে কোন কাজ করি তাহলে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আল্লাহ! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব দিয়েছিলে তেমনটি আমাদের উপর দিও না। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের উপর এমন কোনো দায়িত্ব দিও না যে দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারবো না কিংবা যে দায়িত্ব পালন করার শক্তি সামর্থ্য আমাদের নেই। তুমি আমাদের সকলকে ক্ষমা করো। আমাদেরকে পাপমুক্ত করো এবং আমাদের প্রতি তুমি দয়া করো। তুমিই আমাদের একমাত্র অভিভাবক। অতএব সত্য প্রত্যাখ্যানকারী কাফেরদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জয় লাভ করতে তুমি আমাদেরকে সাহায্য করো।

পড়তে পারেনঃ

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ছবি

বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ,সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত,সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত

উপরে সুরা বাকারার ২৮৫ এবং ২৮৬ নাম্বার আয়াত দুটি উল্লেখ করা হয়েছে। এখন সূরা বাকারার ২৮৪ নাম্বার আয়াতটির  বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেখে নিন।

আয়াত নাম্বার ২৮৪: লিল্লাহী মাফিস সামা ওয়াতি ওয়ামাফিল আরদি, ওয়া ইন তুবদু মাফি আন-ফুসিকুম আও তুখফুহু ইউ হা সিবকুম বিহিল্লাহ ফাইয়াগফিরু লিমাই ইয়াশা ওয়া ইউ আযযিবু মাই ইয়াশা, ওয়াল্লাহু আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।

বাংলা অর্থ:

আকাশ ও যমীনে যা কিছু আছে সব কিছুরই মালিক আল্লাহ। প্রকৃতপক্ষে তোমাদের মনে যা কিছু আছে তা প্রকাশ করো কিংবা গোপন করো আল্লাহ তোমাদের নিকট থেকে তার সবকিছুর হিসাব নিবেন। অতঃপর তিনি যাকে খুশি ক্ষমা করবেন ও যাকে খুশি শাস্তি দিবেন। আল্লাহর সবচেয়ে সর্বশক্তিমান।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের প্রচন্ড ফজিলত আছে। হাদীস শরীফে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। যদি কেউ রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আমল করে তাহলে সে সম্পূর্ণ আল্লাহর হেফাজতে চলে যায়। জ্বীন ও ইনসান সহ কেউ তার অনিষ্ট করতে পারে না। এখন হাদিসের আলোকে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে জানা যাক।

 সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে রাসূল সা: বলেছেন,"যে ব্যক্তি রাতে এ দুটি আয়াত পাঠ করবে তার জন্য এটাই যথেষ্ট।"

অন্য এক হাদীসে রাসূল সা: বলেছেন,"আল্লাহ তাআলা সূরা বাকারা এমন দুটি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন যা আমাকে আল্লাহর আরশে নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এই আয়াতগুলো শিখবে এবং তোমাদের স্ত্রীদেরকেও শেখাবে কারণ এই আয়াতগুলো হল আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় এবং দুনিয়ার সকল কল্যাণ লাভের দোয়া।"

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে রাসূল সা: আরো বলেছেন," যখন আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন আমাকে তিনটি জিনিস দান করা হয়। সেগুলো হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এবং আমার উম্মতের মধ্যে যারা শিরক করে না তাদের কবিরা গুনাহ মাপ হওয়ার সুসংবাদ।"

উপসংহারে বলা যায় যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এর ফজিলত লিখে শেষ করা যাবে না। যাইহোক, প্রত্যেক মুসলমান ভাইকে রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত নিয়মিত আমল করা উচিত। এটি নিয়মিত আমল করতে পারলে সারারাত আল্লাহর জিম্মায় থাকা যায়। আর পৃথিবীর কেউ তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত আমল করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

রিলেটেড পোস্টসঃ

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক অজানাকে জানতে নিয়মিত আমার ব্লগ সাইটটি পরিদর্শন করুন। আমার ব্লগ সাইটটি পরিদর্শনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ। আমি এই আমলটি প্রতিদিনই চেষ্টা করি করার, ইনশাআল্লাহ ওমা তৌফিকী ইলা বিল্লাহ। আমি এই আমলটি সকাল ও সনধ্যায় করে থাকি, যথা ফজরের ও এশারের নামাজের পর,

    উত্তরমুছুন