নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্র | NID card | ভোটার আইডি কার্ড প্রত্যেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টটি পাওয়ার পূর্বে প্রত্যেককে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে হয়। আর জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা সম্ভব নয়। তাই আপনার যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে থাকে এবং আপনি যদি ভোটার আইডি থেকে বাদ পড়ে যান কিংবা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান তাহলে আমার আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে দেখিয়ে দিব নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম | NID Application System.
আপনার বয়স যদি ১৮ বছর হয়ে থাকে এবং আপনারা যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে থাকে তাহলে আজই জাতীয় পরিচয় পত্র | NID card | ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য অনলাইনে আবেদন করে ফেলুন। জাতীয় পরিচয় পত্র | NID card | ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য স্টেপ বাই স্টেপ নিচের ইন্সট্রাকশন গুলো ফলো করুন।
১। নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের যেকোন ব্রাউজারে যেয়ে Search Box এ লিখুন "NID card" এবং Search এর উপর ক্লিক করুন।
২। Search এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে NID card এর উপর ক্লিক করুন।
৩। NID card এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আবেদন করুন এর উপর ক্লিক করুন।
৪। আবেদন করুন এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা সার্টিফিকেট অনুযায়ী ইংরেজিতে নাম লিখুন এবং ফাঁকা ঘরে জন্ম তারিখ দিন। তারপর ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি বসান এর স্থানে উপরের কোড বা ক্যাপচাটি বসিয়ে বহাল এর উপরে ক্লিক করুন।
পড়তে পারেনঃ
Bangladesh NID application system
৫। বহাল এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আপনার মোবাইল নাম্বার দিন এবং বার্তা পাঠান এর উপর ক্লিক করুন।
৬। বার্তা পাঠান এর উপর ক্লিক করার পর ইতিমধ্যে আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে ছয় ডিজিটের একটি কোড যাবে। পরবর্তী পেজে ছয় সংখ্যার যাচাইকরণ কোড স্থানে কোডটি বসিয়ে বহাল এর উপরে ক্লিক করুন।
৭। বহাল এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজেটি দেখতে পাবেন ঐ পেজে একটি ইউজার নেম দিন এবং একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড সেট করুন। এরপর নিচে পুনরায় পাসওয়ার্ড লিখুন এর স্থানে পাসওয়ার্ডটি আবার লিখুন এবং বহাল এর উপর ক্লিক করুন।
৮। বহাল এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে বিস্তারিত প্রোফাইল এর উপর ক্লিক করুন।
৯। বিস্তারিত প্রোফাইল এর উপর ক্লিক করার পর যে সাব পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে এডিট এর উপর ক্লিক করুন।
১০। এডিট এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। এখন আপনি একে একে লাল স্টার দেওয়া পয়েন্টগুলিৱ তথ্য পূরণ করুন। মনে রাখবেন লাল স্টার দেওয়া পয়েন্টগুলিৱ তথ্য পূরণ করা বাধ্যতামূলক। তবে যে পয়েন্টগুলিতে লাল স্টার দেওয়া নেই ঐ পয়েন্টগুলির তথ্য পূরণ না করলে কোন সমস্যা নেই। ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করার পর পরবর্তী এর উপর ক্লিক করুন।
পড়তে পারেনঃ
NID application system
১১। পরবর্তী এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশা নির্বাচন করে অন্যান্য তথ্য পূরণ করে পরবর্তী এর উপর ক্লিক করুন।
১২। পরবর্তী এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আপনার দেশের নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য দিতে হবে। আপনি এখন এই তথ্যগুলো পূরণ করে পরবর্তী এর উপর ক্লিক করুন।
১৩। পরবর্তী এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে পরবর্তী এর উপর ক্লিক করুন।
১৪। পরবর্তী এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে আপনার সব তথ্য ঠিক থাকলে সাবমিট এর উপর ক্লিক করুন।
১৫। সাবমিট এর উপর ক্লিক করার পর যে পেজটী দেখতে পাবেন এই পেজে ডাউনলোড এর উপর ক্লিক করুন।
১৬। ডাউনলোড এর উপর ক্লিক করার পর যে সাব পেজটি দেখতে পাবেন এই পেজে পিডিএফ সিলেক্ট করুন। পিডিএফ সিলেক্ট করার পর আপনার আপনার আবেদনপত্রটি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
এখন আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিন। আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করার পর ৩৪ নম্বর কলামে আপনার এলাকার চেয়ারম্যান বা মেম্বার বা কমিশনার এর নিকট থেকে এনআইডি নাম্বার ও স্বাক্ষর নিন। ৩৪ নম্বর কলামের উপরে আবেদনকারীর স্বাক্ষর এর স্থানে আপনার স্বাক্ষর করুন।
উপরের সব কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে আবেদনপত্রের সাথে আপনার সর্বশেষ পরীক্ষার সনদ পত্রের ফটোকপি, ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা থেকে সংগৃহীত নাগরিক প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্রের ফটোকপি আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে আপনার নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন কার্যালয় আপনার আবেদনপত্রটি জমা দিন।
আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। ঐ তারিখে আপনি নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যেয়ে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আসুন।আপনার সব কাজ শেষ। এখন প্রসেসিংয়ের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করুন এবং মাঝে মধ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে খোঁজ নিন।
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি আমার নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম | NID Application System আর্টিকেলটি পড়ে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন আবেদন সফলভাবে করতে পারবেন। তাই আপনি ভোটার আইডি কার্ড করে না থাকলে আজই আর্টিকেলটি পড়ে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করে ফেলুন।
রিলেটেড পোস্টসঃ
আর্টিকেলটি ভাল লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমার ব্লগটি পরিদর্শনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।