Type Here to Get Search Results !

স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য

 

পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, পদ্মা সেতুর টোল, padma setu, padma bridge

পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম এবং বিশ্বের ১২২ তম দীর্ঘ সেতু। এই সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলা সমূহের সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হবে এই স্বপ্নকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বের অন্যতম সাহসী প্রধানমন্ত্রী প্রমত্ত ও খরস্রোতা পদ্মা নদীর উপর পদ্মা সেতু | Padma Setu নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।

বিশ্বের সব অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান যখন এই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অর্থায়নে কঠোর শর্ত আরোপ করেছিল তখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বসে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে তিনি তার প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আসলে, তিনি পদ্মা সেতুকে নিয়ে বহুদিন যাবৎ স্বপ্ন দেখেছেন। তাই এই সেতুর নাম বলা হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে A lot of thanks and we are grateful to our honorable Prime Minister. 

Padma Setu

পদ্মা সেতু নির্মাণ করার সময় বিশ্ব ব্যাংক সহ অনেক অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অর্থায়নে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিল। এমনকি আমাদের দেশের অনেকে বিরোধিতা ও অসহযোগিতা করেছিলেন কিন্তু এতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক বিন্দুও থেমে থাকেননি বা বিচলিত হননি বরং তিনি তার পদ্মা সেতু নির্মাণের সংকল্পের উপর দৃঢ় ছিলেন এবং কঠোর সিদ্ধান্তের উপর ছিলেন যে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপরেই তিনি যেকোন মূল্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ছাড়বেন। শেষ পর্যন্ত তাই হল।

বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর পদ্মা সেতু নির্মাণ হলো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ হল। আশা করা যায় কিংবা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যাবে এবং বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে উন্নত দেশের তালিকায় তালিকাভুক্ত হবে।

পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসীম বিরত্ব ও সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বিদেশি কোনো সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াও "বাংলাদেশও পারে।"

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ইতিহাস

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তম ও খরস্রোতা পদ্মা নদীর উপর পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ৩,৮৪৩.৫০ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয় এবং ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিভিন্ন সমস্যার কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে ২০০১ সালের ৪ঠা জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০০৩ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের সমীক্ষার কাজ শুরু হয় এবং ২০০৭ সালে একনেকে ১০,১৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন করে।

২০০৯ সালে AECOM পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু করে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে কিছু কঠিন শর্ত পালনের কথা উল্লেখ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের শর্ত মানতে রাজি না হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক ২০১২ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঋণচুক্তি বাতিল করে দেয়।

বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করে দেওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদে বলেন, " পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হবে।" এই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় যে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে হবে। এই সেতু নির্মাণের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের প্রয়োজন নেই।

২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরপ্রস্তাব অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ১২,১৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচ ধরে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের সাথে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প শুরু করে। ২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

২০১৭ সালে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির উপর প্রথম স্প্যান বসানো হয় এবং এই খুঁটির মাঝের স্প্যানে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়। ২০১৯ সালে পদ্মা সেতুর সড়ক স্ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে মাওযা প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির উপর ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু পুরো অবকাঠামো বাস্তবায়নে রূপ নেয়।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে পদ্মা সেতুর উপর সর্বশেষ রোড স্ল্যাব বসানো হয়। এরপর নভেম্বর মাসে ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয় এবং এই মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের কাজও শুরু হয়।

২০২২ সালের মার্চ মাসে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। আর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যানে শেষ ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয় এবং মূল পদ্মা সেতুর পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়। এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে মোট খরচ হয় ৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতুতে রেল লাইন সংযোগ

২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের অর্থায়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং মে মাসে এই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। এরই ফলশ্রুতিতে অক্টোবর মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন।

পদ্মা সেতুর সুবিধা কি কি

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ  দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সমূহের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এই সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকায় যাওয়ার জন্য অথবা ঢাকা থেকে এই জেলাসমূহে মালামাল আনা নেওয়া করার জন্য অনেক সময় বেচে যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ফেরিঘাটে জনগণের ভোগান্তির অবসান ঘটবে।

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

এছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলস্বরূপ বাংলাদেশের জিডিপি ১.২৩%, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি ২.৩এবং দারিদ্র্য বিমোচন ০.৮৪% বেড়ে যাবে। শুধুমাত্র এই নয়, দেশের শিল্পায়নসহ মংলা ও পায়রা বন্দরের কার্যক্রমের গতি বহুগুণ বেড়ে যাবে। পদ্মা সেতুর কারণেই অবহেলিত ও বঞ্চিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জনগণ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন সুবিধা পাবে। এক কথায়, পদ্মা সেতু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা সহ বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার জন্য একটি বড় আশীর্বাদ।

বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গকারি পদ্মা সেতু

বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গকারি একটি সেতু । যেসব কারণে পদ্মা সেতু বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল।

১। পদ্মা সেতু বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম পাইলের সেতু। এই সেতুর খুটির নিচে ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে  এবং প্রতিটা পাইলের ব্যাসার্ধ ৩ মিটার। বিশ্বের কোন সেতুতে এ পর্যন্ত এত গভীর ও মোটা পাইল বসানো হয়নি।

২। পদ্মা সেতুতে ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং ক্ষমতা ১০,০০০ টন। বর্তমানে পদ্মা সেতুর মত সারা বিশ্বের কোন সেতুর বেয়ারিং ক্ষমতা এত বেশি না।

৩। পদ্মা সেতুর নদী শাসনের জন্য ১১০ কোটি মার্কিন ডলারের দরপত্র চুক্তি হয় যা নদী শাসনের জন্য এটাই বিশ্বের প্রথম ও বড় দরপত্র।

৪। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহার করা হয় ভার্টিকাল আরসিসি বোর্ডে পাইলে গ্রাউন্ডিং ইনজেক্ট স্কিন ফিকশন যা এ পর্যন্ত বিশ্বের কোন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়নি।

৫। পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রাস সেতু যে কারণে এই সেতুর ভার বহন করার ক্ষমতা বিশ্বের অন্যান্য ট্রাস সেতুর চেয়ে অনেক বেশি।

পদ্মা সেতু কোন কোন জেলাকে ঢাকার সাথে যুক্ত করেছে

পদ্মা সেতুর নির্মাণ হওয়ার পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা, বরিশাল বিভাগে ৬টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ৫টি জেলা যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ম্যারাথন রেসের মত দৌড়াতে শুরু করবে। আর এই দৌড়ের গন্তব্য স্থল উন্নয়নশীল দেশ হতে বাংলাদেশের নাম মুছে বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি লাভ।

পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকার সাথে খুলনা বিভাগে যে ১০টি জেলা যুক্ত হয়েছেঃ

খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মাগুরা ও নড়াইল।

পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকার সাথে বরিশাল বিভাগে যে ৬টি জেলা যুক্ত হয়েছেঃ

বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা ও পটুয়াখালী।

পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকার সাথে খুলনা বিভাগে যে ৫টি জেলা যুক্ত হয়েছেঃ

শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী।

পদ্মা সেতুর টোল

১। মোটরসাইকেল-----------১০০ টাকা

২। কার বা জিপ------------৭৫০ টাকা

৩। পিকআপ—--------------১,২০০ টাকা

৪। মাইক্রোবাস—-----------১,৩০০ টাকা

৫। ছোট বাস--------------১,৪০০ টাকা

৬। মাঝারি বাস-------------২,০০০ টাকা

৭। বড় বাস----------------২,৪০০ টাকা

৮। ৫ টন পর্যন্ত ছোট ট্রাক---১,৬০০ টাকা

৯। ৫-৮ টন পর্যন্ত মাঝারি ট্রাক-২,১০০ টাকা

১০। ৮-১১ টন পর্যন্ত মাঝারি ট্রাক-২,৮০০ টাকা

১১। ৩ এক্সেল পর্যন্ত ট্রাক---৫,৫০০ টাকা

পড়তে পারেনঃ

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত

=> ৬.১৫ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু কত কিলোমিটার

=> ৬.১৫ কিলোমিটার। সড়কসহ ৯.৩০ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি

=> ৪২টি।

পদ্মা সেতুর স্প্যান কয়টি

=> ৪১টি।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত কিলোমিটার

=> দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থা

=> পদ্মা সেতুর বর্তমান সব কাজ শেষ হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৫ শে জুন পদ্মা সেতু উদ্ভোধন করে জনগণের ব‍্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কি মি

=> ৬.১৫ কি মি।

পদ্মা সেতুর পিলার

=> ৪২টি।

পদ্মা সেতুর স্প্যান

=> ৪১টি।

পদ্মা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত

=> মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে।

পদ্মা সেতুর পিলার ও স্প্যান সংখ্যা

=> পিলার সংখ্যা ৪২টি ও স্প্যান সংখ্যা ৪১টি।

পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু

=> ১২২তম।

পদ্মা সেতুর প্রস্থ কত

=> প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতুর কাজ কবে শুরু হয়

=> ২০১৫ সালের ১২ই ডিসেম্বর।

পদ্মা সেতু যুক্ত করেছে

=> মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলাকে। রাজধানী ঢাকার সাথে যুক্ত করেছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলাকে।

পদ্মা সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান

=> চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, চীন।

পদ্মা সেতুর স্প্যান কয়টি বসানো হয়েছে

=> ৪১টি স্প্যান সব বসানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার

=> ৬.১৫ কিলোমিটার। সড়কসহ ৯.৩০ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জেলার নাম কি

=> মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর।

পদ্মা সেতু কোন জেলায়

=> মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায়।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য

=> ১৮.১০ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন দেশ অর্থায়ন করেছে

=> বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে কিন্তু পদ্মা সেতুতে রেল লাইন সংযোগ প্রকল্পের জন‍্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের ১১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

পদ্মা সেতু কোথায় অবস্থিত

=> মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে।

পদ্মা সেতুর স্প্যান সংখ্যা কতটি

=> ৪১টি।

পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে কতটি জেলাকে সংযুক্ত করবে

=> দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং বর্তমানে সংযুক্তও করেছে।

পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করবে

=> ২১টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং বর্তমানে সংযুক্তও করেছে।

পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় কত

=>৩০,১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ

=> ২৫ শে জুন, ২০২২

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের অর্থায়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল চীনা এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ২২ শে মে ২০১৮ মে এই প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। এরই ফলশ্রুতিতে ১৪ অক্টোবর ২০১৮ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন।

পদ্মা সেতু দৈর্ঘ্য কত

=> ৬.১৫ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু পিলার সংখ্যা

=> ৪২টি।

পদ্মা সেতুর উচ্চতা কত

=> পানি থেকে ১৮ মিটার।

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান

=> ৪১তম।

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান কবে বসে

=> ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুটির উপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।

পদ্মা সেতু কোন দুটি জেলাকে সংযুক্ত করেছে

=> মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর।

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান

=> ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুটির উপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।

পদ্মা সেতু কোন জেলাকে সংযুক্ত করবে

=> ২১টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং বর্তমানে সংযুক্তও করেছে।

পদ্মা সেতুর অফিসিয়াল নাম

=> পদ্মা বহুমূখী সেতু।

পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি বসানো হয়েছে

=> ৪২টি পিলার সব বসানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করেছে কোন দেশ

=> বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান কবে বসে

=> ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির উপর শেষ বা ৪১ তম বসানো হয়।

পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যান

=> ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির উপর শেষ বা ৪১ তম স্প্যান।

পদ্মা সেতুর স্প্যান সংখ্যা কত

=> ৪১টি

পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা

=> ৪২ টি।

পদ্মা সেতুতে কার্পেটিং শুরু

=> ১০ নভেম্বর, ২০২১

পদ্মা সেতু বিশ্বে কততম সেতু

=> ১২২তম।

কখন পদ্মা সেতুর ভিত্তির স্থাপন করা হয়

=> ৪ জুলাই ২০০১

কখন পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়

=> ১২  ডিসের, ২০১৫

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত ফুট

=> ২০,১৭৭.১৭ ফুট।

পদ্মা সেতুর  প্রস্হ কত ফুট

=> ৫৯.৩৮ ফুট।

পদ্মা সেতুর সংযোগ সেতু

=> ৩.১৪৮ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড

=> ১২.১১৭ কিমি

পদ্মা সেতুর নদী শালন

=> ১৪ কিমি

পদ্মা সেতুর লেন

=> ৪টি

পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল

=> ১০০ বছর

পদ্মা সেতুর ভূমিকম্পের সহনীয় মাত্রা

=> রিখটার স্কেলে ৯

পদ্মা সেতুর পাইল সংখ্যা

=> ২৯৪টি

পদ্মা সেতুর নির্মাণের উপাদান

=> কর্কট ও স্টিল।

পদ্মা সেতুতে কয়টি রোডওয়ে স্ল‍্যাব বসানো হয়

=> ,৯১৭টি।

পদ্মা সেতুর  ল্যাম্পপোস্ট সংখ্যা

=> ৪১৫টি

পদ্মা সেতুর নদী শীসক

=> চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরামর্শক

=> দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন।

পদ্মা সেতুর টোল আদায়কারী ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষক

=> কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।

পদ্মা সেতুর পিচ ঢালাই বা কার্পেটিং এর কাজ শুরু হয়

=> ১০ নভেম্বর, ২০২১

পদ্মা সেতুর শেষ ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয় কত নম্বর স্প্যানে

৩৬ নম্বর।

পদ্মা সেতুর শেষ ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয় কত তারিখ

=> ২৯ এপ্রিল, ২০২২

শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধন করা হয় কখন

=> ২৯ মার্চ, ২০২২

পদ্মা সেতুর সর্বশেষ রোড স্ল্যাব বসানো হয় কখন

=> ২৩ আগস্ট, ২০২১

পদ্মা সেতুর ৪১তম স্প্যানটি কত নম্বর খুঁটির উপর

=> ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির উপর।

পদ্মা সেতুর সড়ক স্ল্যাব স্থাপন শুরু হয় কখন

=> ১৯ মার্চ, ২০১৯

পদ্মা সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপন শুরু হয় কখন

=> ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পরিশেষে বলা যায় যে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পদ্মা সেতু Padma Setu নির্মাণের ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জনগণের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয় এবং স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নেয়। এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। আর বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য অদম্য, সাহসী ও বিপ্লবী  প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে।

রিলেটেড পোস্টসঃ

আর্টিকেলটি ভাল লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমার ব্লগটি পরিদর্শনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad